عَنْ جَعْدَة بِنْ هُبَيْرَةَ قَا ل : قَا لَ رسول الله الله صلي الله عليه وسلم :” خَيْرُ النَّاسِ قَرْنِيْ ، ثُمَّ الَّذِيِنَ يَلُوْنَهُمْ، ثُمَّ الَّذِيِنَ يَلُوْنَهُمْ، ثُمَّ الَّذِيِنَ يَلُوْنَهُمْ، ثُمَّ الْآخَرُوْنَ أَرْذَلُ” (2143) في المعجم الكبير للطبراني

হযরত জা’দাতা বিন হুবাইরা (রাদি আল্লাহু আনহু) থেকে  বর্ণিত, তিনি বলেন : রাসুলুল্লাহি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা বলেন : “ সর্বোৎকৃষ্ট মানুষ আমার শতাব্দী   (নবী ও সাহাবীগণ), তারপর পরবর্তী শতাব্দী (তাবেয়ীগণ’),তারপর পরবর্তী শতাব্দী (তাবে’-তাবেঈনগণ),  তারপর পরবর্তী লোকেরা (চতুর্থ শতাব্দী থেকে কিয়ামত পর্যন্ত জন্ম গ্রহনকারী আসন্ন সকল মুসলিমই) সর্বনিকৃষ্ট । আল-মু’জামুল কাবির, তিবরানী শরীফ, হাদিস শরীফ নং-২১৪৩ ।

عَنِ الحَارِثِ الْأَشْعِرِي قَال : فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَ سَلَّمَ  ” ألا  أَنَا آَمُرُكُمْ بِخَمْسٍ أَمَرَنِىْ اللّهُ  بِهِنَّ ؟ بِالْجَمَاعَةُ  ،و السَّمْعُ وَ الطَّاعَةُ وَ الْهِجْرَةُ  والْجِهَادُ فِيْ سَبِيْلِ الله ، فَإِنّهُ مَنْ خَرَجَ مِنَ الْجَمَاعَةَ قِيْدَ شِبْرٍ قَقَدْ خَلَعَ رِبْقَةَ الإسلام مِنْ عُنُقِهِ إِلاَّ أَنْ يَرْجِع،  وَمَنْ دَّعَا بِدَعْوَى الْجَاهِلِيَّةِ فَهُو مِنْ جُثَاءِ جَهَنَّمَ ” قَالوا  : يَا رَسُوْلُ  ا للَّهِ ،  وَإِنْ  صَامَ  وصَلَّى ؟ قَالَ : ” وَإِنْ  صَامَ  و إِن صَلَّى، وَزَعَمَ أَنَّهُ مُسْلِمٌ ،  فَادْعُوا الْمُسْلِمِيْنَ بِأَسْمَاءِهِمْ ،بِمَا سَمَّا هُمْ  اللهُ عَزَّ وَ جَلَّ  الْمُسْلِمِيْنَ المُؤْمِنِيْنَ عِبَا د اللَّهِ عَزَّ وَ جَلَّ ـ “(17443 ، 18079) ) في مُسْنَدِ أَخْمَدَ    

অর্থঃ-হযরত হারিছুল আশআ’রী (রাদিআল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন,  রাসুলুল্লাহি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা বলেছেন : আমি তোমাদেরকে পাঁচটি  বিষয়ের আদেশ করব যে গুলোর বিষয়ে আল্লাহ  আমাকে আদেশ দিয়েছেন? ১.  আল -জামাআ’ত তথা  এক দল বদ্ধ হয়ে থাকতে অর্থাৎ“ الْجَمَاعَةُ (আল-জামাআ’ত)নামে দল তথা   أَهْلُ السُّنَّةِ وَ الْجَمَاعَة    (আহলুসসুন্নাহ ওআল জামাআ’ত) নামে দলটির  অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকতে” ২. শুনা (শুনতে) ৩.আনুগত্য করা (মানতে)     ৪. হিজরত করা (হিজরত করতে)  ৫. আল্লাহর পথে জিহাদ করা (জিহাদ করতে)। অতএব, যে হ এক বিঘৎ (অর্ধ হাত) পরিমান কেহ  الْجَمَاعَةُ (আল-জামাআ’ত) নামে দল তথা  أَهْلُ السُّنَّةِ وَ الْجَمَاعَةِ (আহলুসসুন্নাহ ওআল জামাআ’ত)  নামে দলথেকে বাহির হয়ে গেল সে তার গর্দান থেকে ইসলামের বন্ধন ছিন্ন করে ফেলল। কিন্তু  সে(পূনরায় তওবা করে) ফিরে আসলে আসতে পারবে। তবে যে কেহ “জাহিলিয়্যাতের আহবানে আহবান” জানাল সে  জাহান্নামের সত্ত্বার (জাহান্নামের অধিবাসীর) অন্তর্ভুক্ত। অতপর, তাঁরা বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ, যদি সে রোজা রাখে এবং, নামাজ পড়ে। তিনি(রাসুলুল্লাহি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা) বললেন: যদি সে রোজা রাখে এবং, নামাজ পড়ে আর সে ধারণা করে যে, সে মুসলিম। অতএব, তোমরা মুসলমানদেরকে তাদের নামে আহবান কর। তাই, তোমরা “মুসলমানদেরকে তাঁদের নামে আহবান কর, যেহেতু আল্লাহ আয্যা ওয়া জাল্লা তাদেরকে মুমিন-মুসলিম হিসেবে নাম রেখেছেন,, হে আল্লাহর বান্দারা”। মুসনাদু আহমাদ শরীফ , হাদিস শরীফ নং-১৭৪৪৩,১৮০৭৯।